চন্দ্রাহত চন্দ্রচূড়
চন্দ্রাহত চন্দ্রচূড়
Posted on 24th October, 2024 (GMT 17:23 hrs)
ABSTRACT
The Bangla(বাংলা) blog post is a satirical critique of Justice Dhananjaya Chandrachud, the Chief Justice of India, highlighting his alleged contradictions between judicial conduct and religious involvement. It sarcastically reflects on his public participation in religious ceremonies, questioning the overlap between personal beliefs and professional duties. The article also touches on broader concerns about the fusion of politics, religion, and judiciary in India, referencing landmark cases like the Ram Mandir judgment and expressing frustration with the current socio-political landscape.
Once God went to a psychiatrist. The psychitrist was startled by the divine presence and asked: “Why do you need my assistance?” God replied: “I am having the delusions of grandeur.” To this, the psychiatrist said: “Well, you are the almighty, why cannot you solve this on your own?” God said: “Yes, I am indeed the almighty, but I want to be the judge of the Supreme Court!”⤡
বিচারদেবী থেমিসের সমুখে কোরাস:
হে দেবী থেমিস,
হিরন্ময় পাত্রের নিকষ
কালো গান্ধারী পট্টি
তুমি অপাবৃত করো,
অন্ধা নহে কানুন আর
কেননা তাহা
অনিরপেক্ষ, হা: হা:, অনিরপেক্ষ
আঁখি মেলে দেখো চাহি,
সমুখে তোমার বিষাদযোগে
আক্রান্ত ধনঞ্জয়, প্রার্থনারত
চূড়ায় চন্দ্র তাহার (শিবসম যেমতি),
তব আশীর্বাদে ন্যায়াধীশ
পরনে হিঁদু বাসাংসি আবরিছে তব
ধর্ষিতা নগ্ন শরীর;
ধনঞ্জয়, ধনঞ্জয়, ধনঞ্জয়,
(“অর্জুন, অর্জুন আজ লক্ষ লক্ষ জনগণমন
দোর্দণ্ড গান্ডীব তাই অতি প্রয়োজন,
বৃহন্নলা ছিন্ন করো ক্লীব ছদ্মসজ্জার ব্যসন।
বিদ্রোহের শমীবৃক্ষে সব্যসাচী অর্থ খোঁজে আজ।”)
খসাইছে তব হিংসক তরবার।
তুলাদণ্ড প্রতিমান ভার
তথাপি নিরুদ্দেশ–ফাঁকির ফাঁদে!
নবীন প্যারাডাইম শিফটে,
রেনেসাঁস যথা-অর্থ
মানে তব উন্মোচিত
কুনীতি মায়াজালে।
এক হাতে ধরো সংহিতা রাষ্ট্রের,
যদিচ অবলুপ্ত সংবিধান
দাপটী হিংস্র হিঁদুরাষ্ট্রে।
হে দেবী থেমিস, থেমিস, থেমিস,
রাণী তুমি স্বয়ংবরা জাস্টিস,
মা হন্তব্য, মা হন্তব্য, মা হন্তব্য।
শূন্য।।
#We_Want_Demand_Need_Desire_ Justice
আমরা যাহারা উপর্যুক্ত শ্লোগান দিয়া সঙ্গত চিলচিৎকার করিতেছিলুম, তাহাদের এই ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ন্যায়াধীশ শ্রীমান ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়ের সাম্প্রতিক কাণ্ডকারখানা লইয়া আদৌ মাথাব্যথা হয় নাই। অত:পর দিনদুয়েক আগে, এক জনপরিসরে (আদালতে নহে) তাঁহার মুখনিঃসৃত স্বয়ং ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ শুনিয়া যৎপরোনাস্তি বিমূঢ় হইয়া এই বয়ান (“চন্দ্রাহত চন্দ্রচূড়”) আপুনাদিগের নিকট সবিনয়ে নিবেদন করিতেছি।
“তোমার ন্যায়ের দন্ড1 প্রত্যেকের করে
অর্পণ করেছ নিজে। প্রত্যেকের ‘পরে
দিয়েছ শাসনভার হে রাজাধিরাজ।
সে গুরু সম্মান তব সে দুরূহ কাজ
নমিয়া তোমারে যেন শিরোধার্য করি
সবিনয়ে।…”
মুশকিল হইল যে এই অধম নাস্তিক তথা অজ্ঞেয়বাদী বিধায় এই “তোমার”-কে গরুখোঁজা করিয়াও খুঁজিয়া পাইতেছে না। আমি এমনই আকাট যে অন্তরের আদেশও কান্ট বা গান্ধীর (এমনকি মিল সাহেবের…) ন্যায় শুনিতে পাইতেছি না।
এক।।
ন্যায়াধীশ শ্রীমান ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় ভগবান পুরুষোত্তম রামের2 প্রত্যাদেশের প্রতীক্ষায় তিন মাস ধরিয়া বসিয়া প্রার্থনা করিতেছিলেন, “হে পরমপূজ্য রাম, আমরা নিমিত্ত মাত্তর, যাহা করিয়া হৌক বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির-নির্মাণের আদেশটি আমাদিগকে দিয়া করাইয়া লও।”
শ্রীরাম তাঁহার আদেশ শুনিলেন। রামমন্দির বিচার লইয়া ১০০০+ পাতার চোতা (পরস্পর-বিরোধী কতায় ভরপুর) বাহিরিল। সেই আদেশে পাঁজ্জন বিচারকের নাম রহিয়াছে বটে, কিন্তু সহি স্বাক্ষর নাই।
কেন এই জুগুপ্সা (will to hide/erit celare)?!
কেনই বা স্বাক্ষর থাকিবে?! NP (নস্য নহে, এই মুণ্ডমালের অর্থ আমি আত্মসমীক্ষক ব্রেহ্মসমাজ-সংস্পর্শে জানিয়াছি: “নিরাকার পরম”) ব্রেহ্ম নির্গুণ নিস্কম্মা হইয়া কেমনে স্ব-অক্ষরিবে (?!) ওই বিচারকদিগের উপর তখন NP ব্রেহ্ম রামাবতার স্বরূপে ও সগুণে ভর করিয়াছিলেন। অতএব, নি:-অক্ষর ব্রেহ্ম vanished স্ব-অ-ক্ষর (ন ক্ষরন্তি ইতি অক্ষরব্রহ্ম:–ক্লীব নির্গুণ ব্রেহ্মের কিসসু ঝরে না) হইলেন রামমন্দির-বিষয়ক সর্বোচ্চ আদালত-আদেশে। হিঁদু পৌত্তলিকগণ এই গুহ্য তত্ত্বের মানে বুঝিবেন না।
আরে এযে দেখি প্রত্যাদিষ্ট মানব: “তোমার যজ্ঞে দিয়েছ ভার, বাজাই আমি বাঁশি–“!আচ্ছা, যদি কোনো যবন বিচারক এইরূপ কহিত: আল্লাহর আল’হুকম মোতাবেক তিনি ন্যায়াদেশ দিয়াছেন? তাহা হইলে তো ধুন্দুমার কাণ্ড ঘটিয়া যাইতো এই অভাগা জম্বুদ্বীপে!
কর্ণে প্রতিনিয়ত কলোনি-অভ্যেসে My Lord, My Lord শুনিতে শুনিতে কর্ণপটহ পীড়িত হইলে এমনটাই হয়। এমত স্তাবক-সম্বোধনে নিজমধ্যে ভগবান ভগবান ভাব জাগিয়া উঠিয়া ভগন্দরলীলেখেলা চলে।
এমন প্রত্যাদিষ্ট অবশ্যি একা ন্যায়াধীশ নহেন। ঠাহর হইতেছে, কেউ যেন এমন একই কতা বিগত লোকসভা নির্বাচনের অগ্রে ভিন্ন ভাবে কহিয়াছিলেন: মাতৃবিয়োগের পর তিনি non-biological অবতার বটেক। আমাদিগের পোধানমন্তি আর ন্যায়াধীশ–দুজনেই প্রত্যাদিষ্ট স্বঘোষিত non-bio-logical অ্যাভ্টারস্।
এই দুই প্রত্যাদিষ্ট স্বয়ংসেবকই সমবিভ্যাহারে গণপতি বাপ্পার পুজোয় তথা আরাত্রিকে মাতিলেন। তাহাও আবার ন্যায়াধীশের নিজগৃহনীড়ে, সস্ত্রীক ধনঞ্জয় নর-ইন্দ্রসহ ক্যামেরার সম্মুখে–জনপরিসরে! পাব্লিক-প্রাইভেট-লিগাল ইত্যাদি বর্গত্রয় গুলাইয়া যাইলো।
জাস্টিস কৃষ্ণ আইয়ার মন্দিরে যাইতেন। কিন্তু পদমর্যাদার সুযোগ লইয়া নয়। নিজ পকেটের পয়হা খরচা করিয়া, লুকাইয়া ব্যক্তিক ভক্তি জানাইতেন। তাঁহার বর্তমান ন্যায়াধীশের ন্যায় জাঁকজমক আছিলো না। মনে রাখিতে হইবে, নেহেরু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড: রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবুকে সোমনাথ মন্দির উদ্ঘাটনে রাষ্ট্রপতি হিসাবে না যাইতে অনুরোধ করিয়াছিলেন।
ইহার পূর্বে আমরা তো দেখিয়াছি বর্তমান ন্যায়াধীশ গৈরিক বস্ত্র পরিয়া শুধু পুজোআচ্চাই করেন নাই, গৈরিক ধ্বজকে ভঙ্গ না করিয়া ভারতের ঐক্যের প্রতীক বলিয়া আইনানুগ করিবার আত্যন্তিক প্রয়াস চালাইয়াছেন। ব্যক্তিক ভক্তিতে আপত্তি নাহি মম, সংহিতারক্ষকের জনপরিসরে পদাধিকার বজায় রাখিয়া এমত বাহ্য অগ্নিহোত্রাদি কর্ম করা নিতান্তই nonsense, joke, immature, unwise, ridiculous! (মার্কণ্ডেয় কাটজু, দুষ্যন্ত দাভে আর অরুণা প্রকাশের কথার পুনরাবৃত্তি করিলুম মাত্র।)
অতএব, RTI করিয়া জিজ্ঞাসা করিলুম: রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্বগুরু কোন (আ-)’পদ’-এ গিয়াছিলেন: পোধানমন্তিরি নাকি নাগরিক-সাধারণ?!
অনেক দোর ঘুরে, অনেক ধানাইপানাই-এর পর মাস তিনেক পর পরিপ্রশ্নের উত্তর আসিলো: পোধানমন্তিরি ২৪ ঘণ্টাই পোধানমন্তিরি।3
তাহা হইলে মাননীয় My Lordও ২৪ ঘণ্টা তাহাই: ন্যায়াধীশ। তিনি তবে কেমনে গৈরিক বস্তর ধারণ করিয়া পুজো করিয়া ছবি তুলিয়া বাজারে ছাড়িয়া দেন? বৈক্তিক ভক্ত আর সংহিতারক্ষক পোধানমন্তিরি এবং ন্যায়াধীশের এমত আচরণ ব্যক্তিক এবং জনপরিসর আর আইনি পরিসরকেই শুধু গোলাইলো না, Executive আর Judiciary- র দুই গণতান্ত্রিক স্তম্ভের জলঅচলতাকেও গুলাইয়া দিলো মাইরি (মাতা মেরি)! ওদিকে গণমাধ্যম নামক চতুর্থ স্তম্ভটিও মোদানির গোদে বসিয়া “গোদি মিডিয়া” ইত্যভিধ হইয়াছে।
কিন্তুক, গণেশপুজোর অনুষঙ্গে পরিপ্রশ্ন (গীতা, ৪:৩৪) হইল:
এ কোন গণেশবাবাজী?! বিঘ্নকারক নাকি বিঘ্ননাশক? প্রাচীন অর্থাৎ কিনা “সনাতন” (“most oldest”??!!) ধম্মে ইহা স্পষ্ট যে গণেশ বাবাজীবন অতীব দুষ্টু অপ-দেবতা4 সনাতন ধম্মো গেরাহ্যি করিলে, প্রাচীন ব্যাদের কতা মানিলে এই বিঘ্নিকে পুজো করিলে, ভারত একেই তো ভোগে গিয়াছে, আরো পাপের পঙ্কে নিমজ্জিত হইবে–ইহা কি ওই প্রত্যাদিষ্টদ্বয় জ্ঞাত নহেন?
আমাদিগের মুকখোমন্তিও বা কম কিসে? নাগরিক কবিয়াল তো কহিয়াছেন যে মাননীয়া মমতাময়ী অনুপ্রেরণা অদ্য হইতে তিন শত বৎসর পরে দেবী রূপে পূজিতা হইবেন। মুকখোমন্তি নিসর্গবিপর্যস্ত দীঘার সমুদ্রতটে জগন্নাথ মন্দির কোং খুলিবার নিমিত্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৩৩ কোটি+ দেবদেবীর ঠেলায় আমি তো কুপোকাৎ। ইহার উপর আরো দ্যাবাদেবী আসিলে খেই পাইবো না: কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম? কোন দেবতারে করি মোরা হবি নিবেদন? ডিজের নিরন্তর যাতনায় বদ্ধকালা আর উন্মাদ হইয়া যাইবো।
এবার একটি অ্যাক্টো পঠিত হউক:
Places of Worship (Special Provisions) Act, 1991: An Act to prohibit conversion of any place of worship and to provide for the maintenance of the religious character of any place of worship as it existed on the 15th day of August, 1947, and for matters connected therewith or incidental thereto.
অর্থাৎ, এই অ্যাক্টো অনুযায়ী ১৯৪৭-এর ১৫ই আগস্ট পরবর্তী কোনো দেবস্থান ভাঙিয়া ধর্মান্তরিত করা যাইবেক না। অথচ দেখুন, জ্ঞানবাপি মসজিদের ক্ষেত্রে চন্দ্রাহত ঠিক তাহাই করিয়াছেন। Phallogocentric উল্লাসে একটি জলস্তম্ভকে শিবের ন্যান্তো (penis নহে, phallus) বলিয়া হিঁদুদিগকে পূজার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছেন।
আমাদিগের ট্যাক্সোর পয়হায় যাপন যাঁহাদের, তাঁহারা Z+ নিরাপত্তা, পরিবহন ও দেহরক্ষী সমেত পুজোআচ্চা করিতেছেন কেমনে? ইহা কি সংবিধানের 51A(h) ধারা লঙ্ঘন করিতেছেন না?
“…to develop the scientific temper, humanism and the spirit of inquiry and reform;”
অহো, সইত্যো সেলুকাস, কী বিচি ত্র এই দ্যাশ! জয় তব বিচি ত্র আনন্দ … জয় তব ভীষণ সব-কলুষ-নাশন রুদ্রতা। জয় অমৃত তব, জয় মৃত্যু তব, জয় শোক তব, জয় সান্ত্বনা॥
[ম্লেচ্ছ পরিভাষায় চাবিশব্দ: messianic, destiny, prophetic, fatalism, (pre-)determinism, divine ordination, lunatic, causality, coitus play, revelation, delusion of grandeur, oracle, God complex]
দুই।।
ন্যায়াধীশ ভেন্ন এক জনপরিসরে আরো কহিয়াছেন যে ভবিষ্যৎ ইতিহাস তাঁহাকে কিরূপে মনে রাখিবে, তাহা চিন্তা করিয়া তিনি ঘোরতর অস্তিত্বের সংকটে পড়িয়াছেন। তিনি উদ্বিগ্ন (anguish নাকি anxiety!?)!
ইহা লহিয়াই আমার এক সঙ্ঘী মিত্রোঁওওওও-র সহিত বিতণ্ডা হইতেছিলো। উহার সহিত আমার কাক-পেচক বা কাকোলুকীয় সম্বন্ধ, তথাপি মাথা-ফাটাফাটি সংলাপ জমিয়া উঠিলো। আমি যদি পেচক/উলূক (উ) হই, তিনি বায়স বা কাক (কা) বটেক।
কা: সাহেবি আমল হইতেই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী দেববিগ্রহ Juristic person5। দেবমূর্তি স্বয়ং আদালতে আবেদন করিতে পারেন। অতএব, ন্যায়াধীশ তাঁহার জোবানবন্দির আকাঙ্ক্ষা করিতেই পারেন। ইহা লইয়া বাওয়াল মাচাইবার কোনো কারণ দেখিনে।
উ: ন্যায়াধীশ ধনঞ্জয় তিন তিনবার শপথ লইবার সময় যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা এইরূপ (উপধারা সমেত ধারা ১২৪):
“I, ***., having been appointed Chief Justice (or a Judge) of the Supreme Court of India do swear in the name of God/solemnly affirm that I will bear true faith and faith and allegiance to the Constitution of India as by law established, [that I will uphold the sovereignty and integrity of India, that I will duly and faithfully and to the best of my ability, knowledge and judgment perform the duties of my office without fear or favour, affection or ill-will and that I will uphold the Constitution and the laws.”
ইহা স্বয়ং তিনি লঙ্ঘন করিয়াছেন।
কা। ঈশ্বরের নামে শপথ লইয়া প্রত্যাদিষ্ট হইয়া যদি তিনি আদেশ দেন, তাহাতে আপত্তি কিসের? সব্বাই তো আর এম কে স্তালিন নহেন যে হতচ্ছাড়া পেরিয়ারের অনুগামী হইয়া ভগবানের নাম না করিয়া শপথ লইবেন।
উ। ইহাই তো কূটাভাস আমাদিগের: বিশ্বাস, আস্থাকে কিরূপে সেক্যুলার পরিসরে ভাবিব, তাহা আমাদিগের ব্যাপক সমস্যা। ভগবান-টগবান ছাড়িয়া বরং নিম্নে বর্নিত বাস্তবিক সমস্যাগুলিতে নজর দিই:
১. তিনশো সত্তর ধারা অবলুপ্তির ক্ষেত্রে তাঁহার “যথাযথ” (?!) সমর্থন। অথচ তিনি ৩৭১ ধারা লইয়া কোনো কথা কহিলেন না। কাশ্মীরে বহু মানবাধিকার কর্মীদের ওপর অত্যাচার, গিরেফতারি লইয়াও চুপ থাকিলেন।
২. ক) নির্বাচন আধিকারিকদের ক্ষেত্রে তাঁহার উদাসীন কর্ম আমাকে বিমূঢ় করে।
পোধানমোন্তিরি এবং বহু বিজেপি মোন্তিরি-সদস্যের দ্বারা বারংবার খুল্লামখুল্লা সংবিধান ও মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন6 লইয়া তিনি কোনো পদক্ষেপ লইলেন না।
খ) মূল ভোট সংখ্যা ও ভোট গণনার ব্যাপক গণ্ডগোল কিংবা ভোটের ফলাফল পাঠাইবার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অযথা দেরির বিষয় নিয়ে কোনো পদক্ষেপও তিনি লইলেন না। নির্বাচন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্নও তুলিলেন না।7
গ) ইভিএম-এর বিরুদ্ধে করা মামলা তিনি এড়াইয়া যাইলেন। উকিল মনু সিংভি মহাশয় বিগত লোকসভা নির্বাচনকে “বেআইনি” হিসাবে চিহ্নিত করিবার পরও তিনি নীরবতার ষড়যন্ত্র (conspiracy of silence) পালন করিলেন।
ঘ) আরো আছে, চন্ডিগড়ের মেয়র ইলেকশনের ক্ষেত্রে দোষীর বিরুদ্ধে তিনি কিস্সু করিলেন না।
৩. ক) বিল্কিস বানো, মনিপুরে দীর্ঘকালিন কান্ডকারখানা, মর খালিদ, সঞ্জীব ভাট, ভিমা কোরেগাওঁ মামলা (১৬ জন! ওদিকে স্ট্যান স্বামীর কাস্টোডিতে খুন), পেগাসাস, র্যাফায়েল কেলোর মায়ের এনকোয়ারি লইয়া তাঁহার কোনো কথা নাই। বিল্কিস বানো ২২ বছর পরও কোনো জাস্টিস পান নাই, অথচ তিলোত্তমার ক্ষেত্রে রাতারাতি স্বত:প্রণোদিত (suo moto) হইয়া বিচারে বসিলেন। “বিরোধী” (বিজেমূল?) দলের রাজ্য বলেই কি? গুজরাট ধর্ষকদের লইয়া তাঁহার বক্তব্যই বা কি? মহিলা কুস্তিগিরদের ধর্ণা লইয়া তিনি শুধুই এফ-আই-আর-এর আদেশ দিলেন, ওদিকে ব্রিজভূষণ, আসারাম বাপু, রাম রহিম প্রমুখরা দিব্য বাতাস(আ) খাইয়া থুড়ি প্যারোল লইয়া বেড়াইতেছিলেন। গণখুনে পোধানমোন্তিকে নিয়ে বিবিসির ফিলিম নিষিদ্ধ করিবার ক্ষেত্রে তিনি কি করিতেছিলেন?
খ) DHFL Scam8 ভিক্টিমদিগের ব্যাপারেও তিনি চরম নীরবতা পালন করিলেন, কেননা মুকেশ আম্বানির জামাইয়ের বাপ অজয় পিরামল উক্ত কোম্পানি লুণ্ঠন করিয়াছে।
৪. তিনি চুরি ধরিলেন, কিন্তু চোর ধরিলেন না! ইলেক্টোরাল বন্ড কুচ্ছোর কতা কহিতেছি। “চাঁদা দাও-ধান্দা লও” চক্কর লইয়া দলমতনির্বিশেষে তাঁহার মন্তব্য কী?!9
৫. তাঁহার সাম্প্রতিক মন্তব্য: সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক বিপক্ষের পক্ষে কথা বলিবার ঠাঁই নহে। বিচারালয়ের তো এই সংসদের পক্ষ-বিপক্ষ জানিবার কথা নহে। আইনকানুন মানিয়া কাম চালাইতে হইবে। এমত মন্তব্যে ফের প্রতিপন্ন হইলো Executive আর Judiciary-র মধ্যবর্তী লক্ষ্মণরেখা ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইতেছে।
৬. মারাঠা প্রদেশে সরকার পয়হার গরমে ফেলে দিয়ে সেখানে একটা ঠেকো সরকার বানানো লইয়া টুঁ শব্দটি করিলেন না। বিজেপির সহিত সরকারী সংস্থাগুলোর নটঘট লইয়াও কিসসুটি করিলেন না।
৭. আদানির বিরুদ্ধে দুটি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে বিদেশী বিধায় পরিত্যক্ত করিলেন। গলে পে লেংগটি, কোট-পাৎলুন পরিয়া এমত কতা কওয়া হিপোক্রেসি বলা কি অন্যায় হইবে?10
৮. CAA-র সপক্ষে Section 6A-র সাংবিধানিক বৈধতার পক্ষে রায় দিয়া বসিলেন।11
৯. নোটবন্দীর ন্যায় ভুলভাল কম্মোকে তিনি সার্থক বলিয়া ঘোষণা করিলেন।12
কা। তুমি কি উনাকে অতিমানব ঠাওরাইয়াছো? প্রায় দ্বিবৎসরকাল কার্যক্রমে তিনি রেলগাড়ির হকারের ন্যায় সর্বরোগহর দাওয়াই দিবেন বলিয়া মনে করিতেছো? তুমি কি জানো,
ভারতে ৫১ মিলিয়ন মামলা বচ্ছরের পর বচ্ছর পেন্ডিং পড়িয়া আছে?
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের উচ্চ আদালতগুলিতে ৩৬৩টি আসন খালি রহিয়াছে, যা মোট অনুমোদিত আসনের প্রায় ৩২.৫%।
উচ্চ আদালতগুলির জন্য অনুমোদিত বিচারকের সংখ্যা ১,১১৪, যার মধ্যে ৮৪০ জন স্থায়ী বিচারক এবং ২৭৪ জন অতিরিক্ত বিচারক রহিয়াছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে পূর্ণশক্তিতে কাজ করিতেছে, কোনো শূন্যপদ নাই।
যদিচ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, উচ্চ আদালতগুলিতে বিচারকদের ৩১% পদ খালি রয়েছে এবং জেলা আদালতে ২১% পদ খালি রহিয়াছে।
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে যে, বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শূন্যপদ সমস্যা চলিতেই থাকিবে।
উ। আহা: বাহারে বা:। তুমি তো আমার সুবিধে করিয়া দিলে হে মিত্র। গুটিকয়েক কতা কই:
১. উনি তো নিজেই নিজেকে ‘অতিমানব’ ঠাওরাইয়াছেন। অতিমানব দত্যি যদি আলাদিনের দত্যি হইয়া সব কাম সাল্টাইয়া দেয়, তাহা হইলে আপত্তির কী আছে?
২. এই ব্যাপক বেরোজগারির দেশে শূন্য পদ কাহার অপরাধে সৃষ্ট হয়? নিয়োগকর্তা সরকার কি নাসিকায় সরিষার তৈল দিয়া ঘুমাইতেছেন?
৩. Henley Passport Index অনুসারে ভারতের পাসপোর্ট সূচক ৬৭। বিগত ২০১১ হইতে ২০২৩ অবধি ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পণ করিয়াছেন ১৬৬৩৪৪০ নাগরিক। মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি ধনকর সম্প্রতি বিদেশে উচ্চশিক্ষালাভার্থীদিগের হুজুগকে ‘বিমারি’ বলিয়াছেন, যদিচ তাঁহার এবং শাসক মন্ত্রীসান্ত্রীদিগের ছেলেপুলেরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা লইতেছেন। স্বদেশে উচ্চশিক্ষা লইবার বাসনা তাহাদের নাই (ঠিক যেমতি সরকারি উচ্চপদাধিকারীরা সরকারী হাসপাতাল ছাড়িয়া বেসরকারী আরোগ্যালয়ে ভর্তি হয়েন)।
ন্যায়াধীশের বেঞ্চে পড়িয়া থাকা মামলা? তাহাও সুপ্রচুর। এখনো পড়িয়া রহিয়াছে এক্কেরে মাঝপথে। আর জি কর মামলা, ম্যারাইটাল রেপ, সম্পদের ভাগাভাগি, বাইজুর লাটে ওঠা— ওনার নিজ বেঞ্চ থেকে যাহা প্রকাশিত হইতো। এইসবকে তিনি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ফেলিয়া চলিয়া যাইতেছেন। কি আর করা যাইবে! অবসরকাল তো প্রাক্-নির্ধারিত।
কা। তোমাদিগের কথায় তাল দিয়া না চলিলেই সে ব্যাটা ব্রাত্য হইয়া যায়। অথচ তুমি খেয়ালই করিলে না যে ন্যায়াধীশ তোমাদিগের মন মোতাবেক নিম্নলিখিত আদেশও দিয়াছেন:
১. তিরুপতি লাড্ডু বাওয়াল: ভগবানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখাই শ্রেয়— বলিলেন ন্যায়াধীশ।13
২. সংবিধানে “সেক্যুলার-সোসালিস্ট” শব্দদুটিকে রাখিয়া দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখা হইলো। ইহাতে আমার প্রবল আপত্তি।
৩. সমকামী বিবাহ বিষয়ে আলোচনা করা হইলো পেত্থমবার।
৫. বুলডোজার জাস্টিসের বিরুদ্ধে কথা কওয়া হইলো, বিচার আসিলো।
৬. তুমি যাহাই বলো, উনিই কিন্তু পড়িয়া থাকা মামলা চটপট মেটানো লইয়া পেত্থম পদক্ষেপ লইলেন।
এগুলো তো তোমাদিগের পক্ষে! এসব লইয়া কথা কহ না কেন?
উ। ইহাকেই কয় ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট। কুলও রাখিব, কেষ্টও রাখিব। মাঝে মাঝে এমন গিমিকস না দিলে তো আর মান থাকে না। উনি আদতে অবসরোত্তর চাকুরিপ্রার্থী ইয়ে মানে post-retirement job-এর নিমিত্ত উদ্গ্রীব। তাই তিনি এখন হিঁদু রাষ্ট্রের ধ্বজাধারীদিগের চামচামি করিতেছেন।
কা মহোদয় এবার খেপিয়া উঠিলেন। আমাকে মাকু সেকু, আর্বান নক্সাল, কালচারাল মার্ক্সিস্ট, ওক, টুকরে টুকরে গ্যাঙের প্রতিনিধি ইত্যাদি বলিয়া, উগ্রচণ্ড রাগান্বিত হইয়া প্রস্থান করিলেন।
আর আমিঃ “পপাত চ, মমার চ”!
Do you have faith in the Contemporary Indian Judiciary?
CJI Chandrachud: A “Legacy” Mired in Ambivalence(s)
অন্তিম টীকা
- “তোমার ন্যায়ের দন্ড” [your sceptre of morals] VIEW HERE ⤡ ↩︎
- RAMIFICATION OF ŚRĪ RĀMA RAMSHACKLES US: OUR RAM-DESI-VIR? VIEW HERE ⤡
হায় রাম! VIEW HERE ⤡ ↩︎ - Babri Masjid to Ram Mandir: Modi as PM vs Modi as citizen (?)- An RTI to the PMO, India VIEW HERE ⤡ ↩︎
- Metamorphosis of Gaṇeśas: From the Catastrophe Incarnate to the Bestower of Success? VIEW HERE ⤡ ↩︎
- An Incessant Struggle for Being a Homogenized, Pasteurized, Essentialist and Standardized Akhanḍa Hindu Rāṣṭra: Bharatiya Janata Party VIEW HERE ⤡ ↩︎
- Disqualify PM Modi for his Anti-Constitutional Activities: An Open Letter to the President of India VIEW HERE ⤡
Take Stern Measures against the BJP MPs With Legal Conflicts: An Appeal to the President of India VIEW HERE ⤡
Violations of Law by PM Narendra Modi: A Few Instances VIEW HERE ⤡ ↩︎ - The Legitimation Crisis of Indian Elections VIEW HERE ⤡ ↩︎
- A WHITE PAPER ON THE DEWAN HOUSING FINANCE CORPORATION LTD. (DHFL) VIEW HERE ⤡
THE CHRONOLOGY OF THE DHFL SCAM VIEW HERE ⤡ ↩︎ - Legitimizing Bribery: Electoral Bonds and the Fall of Economic Justice VIEW HERE ⤡ ↩︎
- The Modani “Saga”: The Failed State of India VIEW HERE ⤡ ↩︎
- NPR-NRC-CAA-DPB: THE ANATOMO-BIO-POLITICAL INTERVENTION WITHIN THE ARCHIPELAGO VIEW HERE ⤡ ↩︎
- AN OPEN LETTER TO MODIJI: THE HORNS OF THE DEMONETIZATION DILEMMA VIEW HERE ⤡ ↩︎
- Tirupati Ka Laddoo Jo Khaya Woh Pachtaya, Jo Na Khaya Woh Bhi Pachtaya! VIEW HERE ⤡ ↩︎
Comments
Post a Comment